অভিনেতা শম্ভু মিত্র, সময়সারণিতে

শম্ভু মিত্রের নাটক অভিনয়ের তালিকা সাধারণ রঙ্গমঞ্চে নাটক অভিনীত চরিত্র অভিনয় সাল জীবন রঙ্গ অধ্যাপক নভেম্বর ১৯৪১ উড়ো চিঠি মার্চ ১৯৪২ সীতা শ্ত্রুঘ্ন/বশিষ্ট আলমগীর দিলীর খাঁ রীতিমত নাটক ডাক্তার গণনাট্য সংঘে ল্যাবরেটরি মে ১৯৪৩ জবানবন্দী পরান মণ্ডল নবান্ন দয়াল ও টাউট অক্টোবর ১৯৪৪ মুক্তধারা ১৯৪৬ মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি রক্তকরবী রাজা ১৯৪৯ অশোক মজুমদার ও নাট্য সম্প্রদায়…

মনসামঙ্গল কাব্যের চরিত্র-পরিচিতি

মনসামঙ্গল কাব্যের নারী চরিত্র মনসা : এইকাব্যের মূল দেবী, শিব-কন্যা। চাঁদ সদাগরকে তার পুজো প্রচারে বাধ্য করেছে। বেহুলা : সবথেকে উল্লেখযোগ্য চরিত্র, পৌরাণিক সাবিত্রী চরিত্রের অনুকরণে বেহুলা চরিত্র অঙ্কিত। নেত/নেতা : মনসার সঙ্গী ও পরামর্শদাত্রী। মনসামঙ্গল কাব্যের উপেক্ষিত চরিত্র। সনকা : চাঁদ সদাগরের স্ত্রী, লখীন্দরের মাতা। মনসাভক্ত, আমাদের পরিচিত গৃহিণী চরিত্রের মতো। চণ্ডী : দেবখণ্ডের…

গাব্রিয়েল গর্সিয়া মার্কেজ, উপন্যাসের সাধারণ পরিচিতি

গাব্রিয়েল গর্সিয়া মার্কেজ একজন অতি পরিচিত কবি। ম্যাজিক রিয়ালিজম রচনায় সিদ্ধহস্ত। তাঁর উপন্যাসের সাধারণ পরিচিতি উল্লিখিত হলো। [১] ঝরাপাতা [La Hojarasca] ১৯২৫ মার্কেজের প্রথম উপন্যাস। এখানে জন্ম নেয় বিশ্বসাহিত্যের সেই অবিস্মরণীয় মিথ—  ‘মাকন্দো’। সময়কাল মাত্র আধঘণ্টা, একটি অসম্ভব সমাধির জন্য প্রস্তুতি। গোটা গ্রামের বিপরীতে দাঁড়িয়ে এক অতি বৃদ্ধ সমাজ-পরিত্যক্ত ডাক্তারের মৃতদেহ সৎকারের আয়োজন করে এক…

|

নিরপরাধ ঘুম (শিকার) ও জীবনানন্দ, অপব্যাখ্যার নিরসন

‘শিকার‘ জীবনানন্দের উল্লেখযোগ্য কবিতাগুলির মধ্যে অন্যতম। এই কবিতায় ভোরের শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশে শহুরে হৃদয়হীন মানুষের নিক্ষিপ্ত গুলিতে বনের শোভা একটি হরিণের হত্যা এবং অনতিবিলম্বে তার খাদ্যে পরিণত হওয়ার নারকীয়, পাশবিক ঘটনাকে কবি সংহত আবেগ, সংক্ষিপ্ত ভাষায় বেঁধেছেন। এর মধ্যে দিয়ে আধুনিক মানুষের নৃশংস হৃদয়হীনতার দিকটিকে উদ্ভাসিত করার দিকেই কবির দৃষ্টি নিবদ্ধ। তা করতে গিয়ে কবিতার…

ভাষাবিজ্ঞান ও ভাষাতত্ত্ব, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণ

প্রাচ্য পণ্ডিতগণ অভিনব গুপ্ত : জন্ম কাশ্মীরে দশম খ্রিস্টাব্দে। কাব্যতত্ত্ব, অলংকারে তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য। ‘ধ্বন্যালোক’ও ‘নাট্যশাস্ত্রে’র  টীকা-ভাষ্য রচনা করেছিলেন। প্রথমটির ভাষ্য লোচনটীকা এবং দ্বিতীয়টির ভাষ্য অভিনবভারতী নামে পরিচিত। রসতত্ত্ব সম্পর্কে তাঁর ‘অভিব্যক্তিবাদ’ ধারনা পরবর্তীদের অনেক প্রভাবিত করেছিল।      অমরসিংহ : প্রাচীন ভারতের বিখ্যাত কোশগ্রন্থ রচয়িতা। জন্মকাল আনুমানিক খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতক। তিনি ছিলেন বৌদ্ধধর্মাবলম্বী। বিখ্যাত…

|

মনিয়া প্রসঙ্গ ও জীবনানন্দ, অপব্যাখ্যার নিরসন

“মনিয়া” ও জীবনানন্দ অর্থ সর্বদা নির্দিষ্ট থাকে না, বিশেষত কবির হাতে শব্দ তার প্রচল অর্থ হারিয়ে প্রায়শই নতুন অর্থ ধারণ করে। আর কবিতা এমনই এলাকা যেখানে প্রবেশ সাধারণের দুরধিগম্য। কবিতায় ব্যবহৃত শব্দ, অনুষঙ্গের তাৎপর্য ধরতে গেলে বুদ্ধি নয় — বোধ, প্রজ্ঞা এবং আবেগ লাগে। নয়তো অপব্যাখ্যার অন্ধকার পরিসর তৈরি হয়। এমন অপব্যাখ্যার অন্ধকার পরিসরে কবিতার…

ভাষাবিজ্ঞান, কয়েকটি অজানা প্রসঙ্গ

ভাষাবিজ্ঞান : কয়েকটি অজানা প্রসঙ্গ [১] স্পুনারিজম, Spoonerism কোনো বাক্যের বা বাক্যাংশের দুটি শব্দের আদ্য ব্যঞ্জনধ্বনি যদি পরস্পর স্থানবিনিময় করে, এবং তার ফলে একটি কৌতুকপূর্ণ নতুন বাক্য বা বাক্যাংশ তৈরি হয়, তাকেই স্পুনারিজম বলে। এটি একধরনের বিপর্যাস, ধ্বনির নয় বাক্য বা বাক্যাংশের। অক্সফোর্ড-এর নিউ কলেজের ওয়ার্ডেন রেভারেন্ড স্পুনার (W A Spooner) প্রায়শই এই ধরনের বিপর্যাস করে…

কল্কা (কলকা) নকশা

কল্কা (কলকা) চুম্বক : কল্কা শব্দের উৎস ও অর্থকল্কার ব্যবহার কল্কার বিভিন্ন নাম “কল্কাপাড়ের নীলশাড়ি” এই শব্দগুচ্ছের সঙ্গে এমন কোনো বাঙালি নেই যে তার পরিচয় ঘটেনি। বাংলার হস্তশিল্পে কল্কা একটি সুপরিচিত নকশা। কিসে নেই এই কল্কা—  আলপনায়, আমসত্ত্ব-সন্দেশের ছাঁদে, কাঠের কাজের, মূর্তির চালে, শোলা-রাংতা, আংটির কাজে, ধাতু পাত্রের খোদাই কাজে, কাঁথায়, জামদানি, বালুচরী, শান্তিপুরী, ধনেখালি…

সাহিত্যিক সোহারাব হোসেন, সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
|

সাহিত্যিক সোহারাব হোসেন, সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

সাহিত্যিক সোহারাব হোসেন, সংক্ষিপ্ত পরিচিতি সোহারাব হোসেন [কথাসাহিত্যিক] জন্ম – ২৫ নভেম্বর ১৯৬৬ খ্রি মৃত্যু – ২ মার্চ ২০১৮ খ্রি আমাদের পরবর্তীকালের লেখকদের ভিতর সোহারাব ছিল প্রতিভাবান। খুব কম সময়েই সরম আলির ভুবন, মহারণ এর মতো উপন্যাস লিখে ফেলেছিল। একালের একজন প্রথিতযশা সাহিত্যিক অমর মিত্র এমনই মন্তব্য করেছিলেন সাহিত্যিক সোহারাব হোসেন সম্পর্কে। সত্যিই  সোহারাব হোসেন বেশ কম…

পরশমণি (উপন্যাস), বিকাশকান্তি মিদ্যা

পরশমণি  বিকাশকান্তি মিদ্যা (পরিচিতি দেখুন)প্রকাশ – সেপ্টেম্বর ২০১৮প্রকাশক – অভিযান পাবলিশার্স মূল্য – ১৫০ টাকা (ভারতীয়) একজন মানুষ তার শরীরের যাবতীয় অংশ মাতৃগর্ভেই পেয়ে যায় এবং মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সে অংশগুলো পঞ্চভূতে অর্থাৎ ক্ষিতি-অপ-তেজ-মরুৎ-ব্যোমে বিলীন হয়ে যায়। কিন্তু স্মৃতি মানুষকে সঞ্চয় করতে হয়। অনুভূতি জন্মায় মানুষের মনের গভীরে; মানুষের মৃত্যুর পর এই স্মৃতি এই অনুভূতি…