চর্যাপদের সন্ধ্যাভাষা কি অশ্লীল?
| |

চর্যাপদের সন্ধ্যাভাষা কি অশ্লীল?

  চর্যাপদের সন্ধ্যাভাষা কি অশ্লীল? চর্যাপদের ভাষাকে অনেকেই সন্ধ্যাভাষা বলে উল্লেখ করেছেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বলেছেন, আলোআঁধারি’ ভাষা। অর্থাৎ সংকেতের ভাষা বলতেই এমন কথা বলেছেন। কিন্তু সন্ধ্যাভাষার প্রকৃতি বিচার করতে গিয়ে Mercia Eliade এই সন্ধ্যাভাষাকে Obscene Language বলে উল্লেখ করেছেন। এখন বিচার্য প্রকৃতই কি সন্ধ্যাভাষা অশ্লীল? এই প্রসঙ্গে আমাদের স্মরণে রাখা কর্তব্য, গুহ্যসাধনার ভাষাসংকেতও গুহ্যই হবে।…

| | |

সরহপাদ সরহ পা

সরহপাদ পরিচয় পণ্ডিত তারানাথের সাক্ষ্য মতে সরহ সিদ্ধাচার্যগণের আদি। তিনি জাত্যা ব্রাহ্মণ এবং বেদাদি বিদ্যায় পারঙ্গম। জন্মস্থান উড়িষ্যা (Odivisa)। তিনি নালন্দায় শিক্ষাগ্রহণ করেন। নালন্দায় তাঁর শিক্ষাগুরু ছিলেন ধর্মকীর্তি হরিভদ্র। রাহুল সংকৃত্যায়ন বলেন, হরিভদ্র রাজা ধর্মপালের (৭৭০ – ৮১৫ খ্রি.) সমসাময়িক। সরহপাদের জীবৎকাল অষ্টম শতাব্দী। সম্ভবতঃ ৭৮০ খ্রি. তিনি পরলােক গমন করেন।সরহ আচার্য স্থবিরকালের নিকট অভিষিক্ত…

| | |

কাহ্নপাদ কৃষ্ণপাদ কাহ্ন পা

কাহ্নপাদ বা কৃষ্ণপাদ   অধিক সংখ্যক পদের রচয়িতা চর্যাগীতিতে সঙ্কলিত ৫০টি গানের ভিতর ১৩টি গানই কাহ্নপাদের রচনা। ২৪ সংখ্যক চর্যাটি মূল পুথিতে লুপ্ত, কাজেই মােট ১২টি গান (চর্যা ৭, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৮, ১৯, ৩৬, ৪০, ৪২, ৪৫) কাহ্ন ভনিতায় পাওয়া যাচ্ছে। চর্যাগীতিতে সংখ্যার দিক থেকে কাহ্নের রচনাই সর্বাধিক। তিব্বতী ইতিহাসে, তাঞ্জুর তালিকায়, চর্যাগীতিতে এবং…

| | |

শবরীপাদ শবরপাদ শবর পা

শবরীপাদ  শবরপাদ শবর পা নামের অর্থ লুইপাদের গুরু মহাসিদ্ধ শবরী। ইনি রসসিদ্ধ নাগার্জুনের শিষ্য। তারানাথের বিবরণে শবরী ছিলেন বঙ্গের এক নটাচার্য। নাগার্জুন তাকে শ্রীপর্বতে যাবার নির্দেশ দেন। সেখানে তিনি শবরসুলভ জীবন যাপন করেন এবং ‘শবরীশ্বর‘ বা ‘সিদ্ধ শবরী’ নামে পরিচিত হন। তন্ত্রমতে শবর‘ বা ‘সবর’ অর্থ বজ্রধর । ইনি কনিষ্ঠ সরােহ (‘younger saroha’-Dr. B. D. Natta) নামেও…

| | |

ভুসুকুপা ভুসুকু পা ভুসুকুপাদ

[ads id =”ads1″] ভুসুকুপাদ একজন শক্তিমান চর্যাকার ৷ কিন্তু তাঁর ব্যক্তিত্ব ও প্রাচীনত্ব সম্পর্কে বিতর্ক আছে ৷ চর্যাগীতির রচনা-কাল বিচারে এবং মহাযান মধ্যমক মতের সঙ্গে সহজ-তান্ত্রিক শাখার সম্পর্ক বিচারে ভুসুকুপাদের জীবন-বৃত্ত প্রভূত আলোক- সম্পাত করে ৷ শূন্যবাদের শেষস্তর সহজিয়া তান্ত্রিকতার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত ৷ শেষ পর্যন্ত মহাযানের সকল মতই সহজ-সাগরে মিলিত হয়ে হেবজ্রতন্ত্রের ‘সহজং জগৎ…

|

চৌরাশী সিদ্ধা, চৌরাশি সিদ্ধা, চর্যাপদের কবি

চৌরাশী সিদ্ধা ।।  চর্যাপদ আবিষ্কারের পরই বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের উপর অনেকেই আলোকপাত করতে শুরু করেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আবিষ্কৃত “চর্যাপদে” ২৩ জন কবির (সিদ্ধাচার্য) নাম পাওয়া যায়। যদিও তিব্বতী ইতিহাসে সংখ্যাটা আরো বেশি। সেখানে সংখ্যাটা ৮৪। ★ তিব্বতী লামা তারানাথ এই কবিদের কিছু কিছু পরিচয় দিয়েছেন এবং তাঁর সেই গ্রন্থ জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেছেন Gruenwedel , নাম দেন…