ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো | রবীন্দ্রনাথের বিজয়া রবীন্দ্র-কবিতার মাঝে
| |

ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো | রবীন্দ্রনাথের বিজয়া রবীন্দ্র-কবিতার মাঝে

ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো | রবীন্দ্রনাথের বিজয়া রবীন্দ্র-কবিতার মাঝে রবীন্দ্রনাথের গানের জগতে ‘বিদেশিনী’ শব্দটি অর্থবহ। ৩৫ বছর বয়সে কবি একটি গান লিখেছিলেন– আমি চিনি গো চিনি তোমারে ওগো বিদেশিনী তুমি থাক সিন্ধুপারে ওগো বিদেশিনী। (২৫ আশ্বিন ১৩০২) [ads id=”ads1″] গানটি ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর সঙ্গে অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায়। শুধু তাই নয়, কবি এই গানটির ইংরেজি অনুবাদ ভিক্টোরিয়ার (কবির…

|

এক পোস্টমাস্টার এবং রবীন্দ্রনাথের ‘পোস্টমাস্টার’ গল্প

রবীন্দ্রনাথের শিলাইদহ-সাজাদপুর অবস্থানকালে যেসব গল্প রচিত হয়েছিল তার অধিকাংশের উৎস সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের একাধিক চিঠি পাওয়া যায়। গল্পগুচ্ছের বহু গল্পের উপাদান রবীন্দ্রনাথ পদ্মা-তীরবর্তী গ্রামগুলিতে পেয়েছিলেন। এক্ষেত্রে তাঁর ‘পোস্টমাস্টার’ গল্পটিও ব্যতিক্রম নয়। গল্পটির উৎস খুঁজতে গেলে ‘ছিন্নপত্রাবলী’তে অন্তত ২টি চিঠির সন্ধান পাওয়া যাবে যেখানে কবি রবীন্দ্রনাথ তাঁর গল্পটির কাহিনির সূত্র সম্বন্ধে অকপটে স্বীকারোক্তি  করছেন। চিঠি ২-টির ক্রমিক সংখ্যা-…

| | | |

রবীন্দ্রনাথের বাংলা নাটকের ইংরাজি অনুবাদ [রবীন্দ্র-কৃত]

গীতাঞ্জলির ইংরাজি অনুবাদকর্মের সাফল্যে উৎসাহিত রবীন্দ্রনাথ তাঁর একাধিক রচনার বিশেষ করে বাংলা নাটকের অনুবাদে হাত দেন। কাব্যনাট্য থেকে শুরু করে রূপক-সাংকেতিক নাটকের অনুবাদ তিনি করেন। কবি-কৃত নাটকের ইংরেজি রূপান্তরের ক্ষেত্রে তাঁর নিম্নোদ্ধৃত বাংলা নাটকগুলির কথা আমরা জানতে পারি— [১]    চিত্রাঙ্গদা-র (১৮৯২) অনুবাদ Chitra 1913 [২]    প্রকৃতির প্রতিশোধ-এর (১৮৮৫) অনুবাদ Sanyasi or The Ascetic 1916 [৩]   …

| |

কাদম্বরী দেবীর উদ্দেশে রবীন্দ্রনাথের গ্রন্থোৎসর্গ

ঠাকুর পরিবারে জ্যোতিরিন্দ্রনাথের স্ত্রী কাদম্বরী দেবীর উদ্দেশে রবীন্দ্রনাথ কয়েকটি গ্রন্থ উৎসর্গ করেছেন। রবীন্দ্রজীবনে কাদম্বরী দেবীর ভূমিকা সম্পর্কে কোনো দ্বিমত নেই।  কাদম্বরী দেবীর উদ্দেশে যে গ্রন্থগুলি কবি উৎসর্গ করেছেন তা অধিকাংশই কবির প্রথমদিককার গ্রন্থ। তাঁর মৃত্যু রবি-কবির জীবনে গভীর রেখাপাত করেছিল। এখন আমরা দেখে  নিই গ্রন্থগুলির নাম এবং উৎসর্গিত গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথের স্বীকৃতি। ১. ভগ্নহৃদয় (ক) সাময়িক-পত্রিকায়…

|

অভিনেতা রবীন্দ্রনাথ – সীতা দেবী

রবীন্দ্রনাথকে প্রথম অভিনয় করতে দেখি ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে মে মাসে। তাহার পর দীর্ঘ ত্রিশ বৎসর কাল নানা ভূমিকায় তাঁহার অভিনয় দেখিবার সৌভাগ্য হইয়াছিল। বেশীর ভাগই তিনি তাঁহার জীবনের পরিণত বয়সে রচিত নাটকগুলিতে অভিনয় করিতে নামিতেন। কখনও সন্ন্যাসী,  কখনও ঠাকুরদাদা, কখনও বা ধনঞ্জয় বৈরাগী বা আচার্য অদীনপুণ্য। পোশাক-পরিচ্ছদ সাধারণত যা পরিতেন, তাহার বেশী অদল-বদল হইত না, রঙ্গমঞ্চে…

| | |

তারাশঙ্করের লেখা পড়ে রবীন্দ্রনাথ কী জানিয়েছিলেন [চিঠি]

রবীন্দ্রনাথ সমকালীন লেখকদের রচনা শুধু পড়তেনই না, বিভিন্ন সময়ে নিজের অনুভূতিও জানাতেন চিঠি লিখে কিংবা সাক্ষাতে। সবসময়ই যে প্রশংসা করতেন তা নয়, মন্দ লাগলেও তা খোলাখুলি জানাতেন। এখানে রবীন্দ্রনাথ ও তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উভয়েরই চিঠি উল্লিখিত হলো। [রবীন্দ্রনাথের লেখা চিঠি] ১. [শান্তিনিকেতন থেকে] লাভপুর, বীরভূম কল্যাণীয়েষু, তোমার ছোট গল্পের কতকগুলি আমার বিশেষ ভালো লেগেছে — দুএকটা…

| | |

রবীন্দ্রনাথ ও রোদেনস্টাইন

স্যার উইলিয়াম রোদেনস্টাইন (১৮৭২-১৯৪৫) প্রধানত পরিচিত ছিলেন একজন ইংরেজ চিত্রশিল্পী হিসেবে।রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয় হয় কলকাতার ৫ নম্বর দ্বারকানাথ ঠাকুর লেনের জোড়াসাঁকোর বাড়িতে তাঁদেরই বিখ্যাত দক্ষিণের বারান্দায় – যেখানে অবনীন্দ্রনাথ ও গগনেন্দ্রনাথ গড়ে তুলেছিলেন এক বিশাল ও দুর্লভ শিল্প সংগ্রহশালা। বিদেশ থেকে কোনো বিশিষ্ট সমঝদার এলে এখানে এসে সেই শিল্প সংগ্রহ দেখতেন। ছবি :…

রবীন্দ্রনাথ ও ইয়েটস Rabindranath and Yeats
| | |

রবীন্দ্রনাথ ও ইয়েটস Rabindranath and Yeats

উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস (১৮৬৫-১৯৩৯) জন্মসূত্রে আইরিশ এবং বিশ শতকের ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। ১৯১৩-তে রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার দশ বছর পরে ১৯২৩-এ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। রবীন্দ্রনাথের ইংরেজি। গীতাঞ্জলি (Song Offerings)-এর সম্পাদক ও ভূমিকা-লেখকও তিনি।

| |

রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত রচনা ও স্বীকৃতির চিঠি

রবীন্দ্রপ্রসঙ্গ রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত রচনা কী এ নিয়ে বহু বিতর্ক ছিল। কিন্তু সেই বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছিলেন শনিবারের চিঠির সম্পাদক সজনীকান্ত দাস। সজনীকান্ত শুধু প্রথম প্রকাশিত রচনারই কথা বলেননি, সেইসঙ্গে বেনামীতে রচিত রবীন্দ্রনাথের বহু রচনার সন্ধান দিয়েছেন। পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথের যে বহু ছদ্মনাম ছিল তারও সন্ধান দিয়েছেন। এইপ্রসঙ্গে বিস্মিত রবীন্দ্রনাথ সজনীকান্তকে চিঠি লিখে তাঁর বিস্ময় প্রকাশ করেছেন…

| |

ছুটি গল্পের ফটিক — আসলে কে জানেন ?

ছুটি গল্পের ফটিক — আসলে কে জানেন ? ফটিক চক্রবর্তী নামটা সকলেরই জানা মনে হচ্ছে, তাই না? হ্যা, হবেই তো। কারণ, শাহজাদপুরের এই ছেলেটি ছিল দুর্দান্ত দামাল ৷ সারাদিন কাটত তার মাঠে মাঠে ঘুড়ি উড়িয়ে, তাইরে নাইরে না গান গেয়ে, ফুলঝোর নদীতে সাঁতার কেটে। দল বেঁধে নদীর ধারে ‘মারো ঠ্যালা ইেইয়ো, সাবাস জোয়ান হেঁইয়ো’ বলে…